জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামী মাহিম মিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাহিমসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কৌশলে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহিম ও তার বন্ধুরা ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তার পালিত মা
ধর্ষণের পর গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত শুক্রবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূর বাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামে। সাত মাস আগে উপজেলার জগনাথগঞ্জ ঘাট এলাকার মাহিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
নিহত গৃহবধূর পালিত মা অভিযোগ করে জানান, ‘যৌতুকের চার লাখ টাকা না দেওয়ায় আমার মেয়েকে নির্যাতন করত তার স্বামী মাহিম। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দেড় মাস আগে মাহিমকে তালাক দেয় আমার মেয়ে। বিয়ের আশ্বাসে আবারও আমার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে মাহিম। কৌশলে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মাহিম ও তার বন্ধুরা আমার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহবত কবীর বলেন, ‘মাহিমসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর শনিবার সন্ধ্যায় মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ’